দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিজ হাতে গলা টিপে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী শরিফা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পার্বতীপুর শহরের চান্দোয়াপাড়া মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী শরিফা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর পার্বতীপুর শহরের চান্দোয়াপাড়া মহল্লার মৃত জহির উদ্দীন মিস্ত্রির ছেলে শাহাজাদ হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ভোটগাছ গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শরিফা বেগমের বিয়ে হয়। তবে এটি শরিফার চতুর্থ ও শাহাজাদ হোসেনের তৃতীয় বিয়ে বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কোনো বনিবনা ছিল না। প্রতিদিনই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
শাহাজাদ হোসেন টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় একটি অটো রাইস মিলে কাজ করেন। গতকাল বুধবার ভোরে শাহাজাদ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন।
পুলিশ জানায়, ওই দিন বিকেলে স্ত্রী শরিফা বেগম সুজির হালুয়ার সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে তাকে খেতে দেয়। এতে কিছুক্ষণের মধ্যে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী শরিফা বেগম দুহাতে গলা টিপে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান। হত্যাকাণ্ডের পেছনে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কই মূল কারণ বলে তিনি জানান।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী শরিফা বেগমকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।